একের পর এক ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইসরায়েলি বসতি বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তিনিও এতে শামিল হয়েছেন। এমন অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। মূলত ফিলিস্তিন নয়, এই বিশ্ব নেতাদের আসল উদ্দেশ্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া।
কিন্তু এবার হয়ত অশনি সঙ্কেত দেখে দিতে পারে ইসরায়েলদের। কারণ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের পুরোপুরি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-র প্রধান কৌঁসুলি ফাতো বেনসুদা। তিনি বলেছেন, এই তদন্তের পর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যেতে পারে।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বেনসুদা বলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তিনি বলেন, যেহেতু ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে এই তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, তাই এটি শুরু করার জন্য বিচারকদের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর ঘোর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের কারসাজির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন এই কৌঁসুলি, যারা এই আদালতকে উইপেনাইজ করতে চায়’।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে ১৮টি মুসলিম প্রধান দেশ রয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারলে দুটো কাজ হবে। একটা হলো, যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলের অস্ত্র বিক্রি হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো দেশগুলোতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে।